আজ শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তরুণদের স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করতেই আ.লীগের ইশতেহার

জাকির হোসেন: দেশের ১ কোটি ২০ লাখ নতুন ভোটার সঙ্গে আরো প্রায় ৪ কোটিরও বেশি তরুণ জনশক্তিকে সম্পৃক্ত করে উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে ইশতেহার তৈরি করছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে দলটির ইশতেহারের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। দফায় দফায় মিটিংয়ে চূড়ান্ত এ খসড়া পত্র এখন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার টেবিলে যাওয়ার অপেক্ষায়। তার গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরই জাতীর সামনে চূড়ান্ত ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। এইসকল তরুণদের কথা মাথায় রেখে, তরুণদের স্বপ্ন বাস্তাবায়নেই আ.গীগের ইশতেহার তৈরী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক।
শনিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ইশতেহার কমিটির বৈঠকের শুরুতে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এসময় তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সম্মেলনে আওয়ামী লীগ একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করে। ওই ঘোষণাপত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্য গুলো তুলে ধরা হয়েছিল, সঙ্গে সামনের দিনে আমরা কী করবো সেগুলো আমরা সেখানে তুলে ধরেছিলাম। আমরা যে ইশতেহার করছি সেটা ২০১৬ সালের ঘোষণাপত্রের ভিত্তিতে। এখানে ওই সম্মেলনে অংশ নেওয়া কাউন্সিলরদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
‘‘এ পর্যন্ত পাঁচটা মিটিং করেছি, মিটিংয়ে আমরা একটা খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এটা এখন আমরা আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করবো। উনার অনুমোদন, গ্রিন সিগন্যাল পেলে প্রকাশের জন্য ব্যবস্থা নেবো।’’
আওয়ামী লীগের ১০ বছরের উন্নয়নে এবার কী চাইছে দল? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহার আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দাবি করে থাকি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে আমাদের সময় উন্নতি হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়ন সারা পৃথিবীতে নন্দিত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে, সারা বিশ্বের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছে। আমাদের সময়ে যে উন্নয়ন সেটা সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।
‘‘আমি এটুকু বলতে চাই আমরা গত ১০ বছরে উন্নয়নের যে ভিত্তি রচনা করেছি সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ আগামীর পথে কিভাবে এগিয়ে যাবে তা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরা হবে।”
তিনি বলেন, আমাদের সময়ে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট প্রবৃদ্ধিসহ যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে, উন্নয়নের যে মহাসড়কে আমরা অবস্থান করছি সেটাকে আরও বেগবান করার বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকবে।
ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত বিষয় তুলে ধরে রাজ্জাক বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ৭.৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এই প্রবৃদ্ধিকে আরো বাড়াতে চাই। আমরা এমডিজির সকল লক্ষ্য পূরণ করেছি। আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে চাই, অতি-দারিদ্র্যকে শেষ করতে চাই। আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে পুষ্টি সম্মত ও মানসম্মত খাদ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের ইশতেহারে আমাদের পুলিশ বাহিনী কী হবে, দুর্নীতি কিভাবে কমে আসবে সেটা বলার চেষ্টা করবো। জনহিতৈষী একটি পুলিশ বাহিনী আমরা গড়তে চাই।
তরুণদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ পরিকল্পনা থাকছে ইশতেহারে জানিয়ে রাজ্জাক বলেন, তরুণ সমাজকে উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত করতে চাই। সেটা কি করবো সেটা আমাদের ইশতেহারে সম্পৃক্ত করেছি। বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ তাদের আমাদের উন্নয়নের সাথে, তাদের জীবিকার উন্নয়নে আমরা আরও কিভাবে সম্পৃক্ত হবো সেটা তুলে ধরবো ইশতেহারে।
এবারের ইশতেহারে শিল্পায়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক।